স্বদেশ ডেস্ক:
খুলনা নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার ইউনুস হত্যা মামলায় একটি ধারায় তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং অপর একটি ধারায় প্রত্যেককে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয়মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোজিনা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নগরীর মৌলভী পাড়া টিবি বাউন্ডারি রোডের চেয়ারম্যানের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল শেখ (১৮), ফুলবাড়ি গেট দারোগার বাজার এলাকার সাব্বির হোসেন ওরফে তপু (২৬) ও একই এলাকার রুবায়েত হোসেন ওরফে রুবেল (৩৪)। রায় ঘোষণাকালে তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলার অপর তিন আসামি নগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকার রানা কবির (৩৬), খানহাজান আলি থানাধীন যোগীপোল এলাকার হাফিজুর রহমান (৩৯) ও দৌলতপুর কালিবাড়ি সাহেব পাড়া কেদার নাথ ক্রস রোডের পংকজ চন্দ্র শীলকে ২০১ ধারার অপরাধে প্রত্যেককে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ তিনজনের মধ্যে হাফিজুর রহমান ও পংকজ চন্দ্র শীল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১৩ জুন ভোরে নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ সেতু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার ইউনুসকে হত্যা করে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করা হয়। মামলার এক আসামি সোহেল ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউনুসের সাথে তার দ্বন্দ্ব ছিল। এ কারণে তাকে চাকরি থেকে বাদ দেয় মালিকপক্ষ। এ প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় আসামিরা।
এ ঘটনায় নগরীর গগন বাবু রোডের নিহত ইউনুসের বাবা মো: আমজাদ হোসেন মোড়ল বাদী হয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো: মনিরুজ্জামানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী মোস্তাক আহমেদ আদালতে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।